পদ্মা, যমুনা, ধলেশ্বরী, কালিগঙ্গা ও ইছামতি বিধৌত মানিকগঞ্জ নৈসর্গিক সৌন্দর্য সমৃদ্ধ একটি জেলা। ফরিদপুর জেলার অধীনে ১৮৪৫ সনে সৃষ্ট মানিকগঞ্জ মহকুমা ১৯৮৪ সনে জেলায় রূপান্তরিত হয়। এ জেলার উত্তরে টাঙ্গাইল জেলা, দক্ষিণে ফরিদপুর এবং ঢাকা জেলা। রাজধানী ঢাকা হতে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ৬৩ কিঃ মিঃ। সাতটি উপজেলা এবং দু’টি পৌরসভা বিশিষ্ট এ জেলায় ১৫ লক্ষাধিক লোকের বসবাস। এ জেলার বিস্তৃত জনপদ বিশেষ করে হরিরামপুর, শিবালয় ও দৌলতপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকা প্রতিবছর নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়। তবুও প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে আছে সংগ্রামী মানুষেরা-স্বপ্ন দেখছে সোনালী ভবিষ্যতের, ডিজিটাল বাংলাদেশের। শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি জগতে যাঁরা মানিকগঞ্জকে দেশে-বিদেশে সুপরিচিত করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন নোবেল বিজয়ী ড. অমর্ত্য সেন, চলচ্চিত্রের জনক হীরা লাল সেন, বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার খান আতাউর রহমান, পল্লী গীতির বিখ্যাত শিল্পী নীনা হামিদ, দেশবরেণ্য লোকসঙ্গীত শিল্পী মমতাজ বেগম, বালিয়াটির জমিদার কিশোরী লাল রায় চৌধুরী প্রমূখ। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে নিজের রক্ত দিয়ে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছেন এ জেলার শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ রফিক উদ্দিন আহমেদ।